জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“বাবা ছাড়া আমি বাঁচব কি করে? সব শেষ হয়ে গেল আমার!”— বাবা নীলাদ্রি লাহিড়ীর মৃ’ত্যুতে ভেঙে পড়েছেন মেয়ে সম্পূর্ণা! বাবার হাত ধরেই অভিনয় শুরু, এবার তাঁর মৃ’ত্যুই মানসিকভাবে আঘাত করল কন্যাকে!

নতুন করে শোকের ছায়া বাংলা বিনোদন জগতে (Tollywood)। গতকাল প্র’য়াত হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ‘সম্পূর্ণা লাহিড়ী’র (Sampurna Lahiri) বাবা এবং খ্যাতনামা অভিনেতা-পরিচালক ‘নীলাদ্রি লাহিড়ী’ (Shri. Niladri Lahiri)। দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর বাইপাস সার্জারিও হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে, ৬৬ বছর বয়সে হৃদরোগেই শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন এই বর্ষীয়ান শিল্পী। তাঁর মৃ’ত্যুতে শোকস্তব্ধ মেয়ে সম্পূর্ণা কি জানালেন?

প্রসঙ্গত, একাধারে টেলিভিশন থেকে থিয়েটারে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন নীলাদ্রি লাহিড়ী। ‘শুভদৃষ্টি’, ‘মিঠাই’, ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ কিংবা ‘জগদ্ধাত্রী’-র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় দর্শকমনে আজও স্মরণীয় হয়ে রয়ে গেছে। পাশাপাশি, বাংলা সিনেমাতেও তিনি ছিলেন এক পরিচিত মুখ। জীবনের শেষ পর্যায়ে অসুস্থতা থাকলেও, কখনও অভিনয় ছাড়েননি এই শিল্পী।

সোমবার সকাল এগারোটার আশপাশে আচমকাই ঘটে সেই ম’র্মা’ন্তিক পরিণতি। জানা গেছে, ওইদিনই তাঁর চেকআপ ছিল। কিন্তু হাসপাতাল পৌঁছনোর আগেই তিনি চিরবিদায় নিলেন। এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় সম্পূর্ণা বলেন, “কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল বাবার। আজ চেকআপ ছিল, কিন্তু তাও যাওয়া হল না। সব কিছু শেষ হয়ে গেল আমার। বাবাই আমার সব ছিল।”

উল্লেখ্য, বাবার হাত ধরেই অভিনয়ের জগতে প্রবেশ করেন সম্পূর্ণা। তাঁর অভিনয়-অনুপ্রেরণা, সাহস, প্রতিটি প্রথম ধাপ— সব কিছুতেই ছায়ার মতো ছিলেন বাবা নীলাদ্রি। বাবার এমন অকাল প্রয়াণে কার্যত ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী। কথায় কথায় গলা ধরে যাচ্ছে, কান্নায় ভিজে যাচ্ছে স্মৃতির পাতা। এই পরিস্থিতিতে পরিবার-পরিজন ও বাবার সহকর্মীরা পাশে থাকলেও, পিতৃহারা শোক যে অপূরণীয়!

বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই ইতিমধ্যেই শোকপ্রকাশ করেছেন এই দুঃসংবাদে। সম্পূর্ণার পাশেও দাঁড়াচ্ছেন অনেক শিল্পীরা। আশা করা যায়, খুব তাড়াতাড়ি জীবনের এই দুঃসময় কাটিয়ে অভিনেত্রী আবার মুল স্রোতে ফিরে আসবেন। নীলাদ্রি লাহিড়ীর মৃ’ত্যু শুধু একটি পরিবারের নয়, গোটা অভিনয়মহলের এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর অবদান, স্মৃতি ও কাজ আজীবন বেঁচে থাকবে দর্শকমনে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।