গরম মানেই পটলের মরসুম। পটল ভাজা, দই পটল, আলু পটলের রোসা, পটল চিংড়ি প্রভৃতি নানা রেসিপিতে পটল আপনারা খেয়েছেন। কিন্তু সেই তো সবই একে ধরনের খাওয়ার। তাই আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে পটলের একদম আলাদা একটি রেসিপি। আচ্ছা পটল দিয়ে দুধ মুগ পটল বানিয়েছেন কখনও? মধ্যাহ্ন ভোজে ভাতের প্লেট হবে পরিষ্কার। চেটেপুটে খাবে পটলের এই দারুন রেসিপি। চলুন তাহলে দেখে নিই তবে তার আগে জেনে নিই কি কি গুন আছে পটলে।
পটল এই গরমকালের একটি অতি জনপ্রিয় সব্জি। পটল রয়েছে ভিটামিন সি, এ এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বক ভালো রাখে। এছাড়াও পটল ক্যালরির মাত্রা অনেক কম থাকে তাই পটল আমাদের ওজন বৃদ্ধি করে না। এছাড়াও পটল আমাদের শরীরের রক্ত পরিশোধকের কাজ করে, কোলেস্টরল, ব্লাড সুগার কমায়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের মতে জ্বর, সর্দি, কাশির হাত থেকে রেহাই দেয় পটল। অতিমাত্রায় ফাইবার থাকার কারণে পটল খাওয়ার হজম করতে সাহায্য করে।
তবে শুধু পটল নয়, মুগ ডালের রয়েছে প্রচুর গুন। মুগ ডালে রয়েছে পটাশিয়াম, ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন বি ২, বি ৩, বি ৫, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম, কপার, আয়রন, জিঙ্ক। শরীরে যে স্বাভাবিকভাবে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি হয় না। সেই ঘাটতি পূরণ করে মুগডাল। মুগডালে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের শরীরে ক্যান্সার, হার্টের নানা সমস্যা, পেটের রোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়াও গরমকালে মুগ ডাল থেকে শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে মুগ ডাল। ফলে গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুকি কমে।
প্রণালি:
প্রথমেই পটলের খোসা ছাড়িয়ে হালকা করে ছুলে নিয়ে পটলগুলো দুইফালি করে কেটে নিন। এরপর পটলগুলো হালকা করে সাঁতলে নিন। সোনা মুগের শুকনো ডাল কড়াইয়ে হালকা করে ভেজে প্রেসার কুকারে অর্ধেক সেদ্ধ করে নিন। এরপর মুগডাল সেই সেদ্ধ করা মুগ ডালের মধ্যে সাঁতলে রাখা পটলের টুকরোগুলো দিয়ে দিন। ডাল সম্পূর্ন সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত প্রেসার কুকার নামাবেন না। এবার কড়াইয়ে ঘি, শুকনো লঙ্কা, গোটা গোলমরিচ ফোড়ন দিয়ে নিন। তারপর আদা বাটা এবং জিরে বাটা দিয়ে মিশিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন।
আরো পড়ুন: অনেক তো খেলেন চিতল মাছের মুইঠ্যা! এবার চটজলদি বানিয়ে ফেলুন সয়াবিনের মুইঠ্যা, দেখে নিন দারুণ রেসিপি
এরপর তাতে সেদ্ধ করে রাখা মুগ ডাল এবং পটলগুলো দিয়ে দিন। এবার তাতে স্বাদ অনুযায়ী চিনি এবং লবণ দিয়ে দিন। এরপর সবটা ভালোভাবে মিশানো হয়ে গেলে দুধটা দিয়ে কড়াই চাপা দিয়ে ভালো করে ফোটান। পটলের সঙ্গে দুধ এবং মুগডালটা ভালো করে মিশে গেলে আঁচ কমিয়ে রাখুন। মুগডাল ঘন হয়ে এলে তাতে ঘি এবং কারিপাতা বা ধনে পাতা দিয়ে চাপা দিয়ে রাখুন। কড়াই থেকে ঘিয়ের সুগন্ধ বেরোলেই ব্যস তৈরি আপনাদের দুধ মুগ পটল। এরপর ভাতের সঙ্গে গরমাগরম ডাল দিয়ে গন্ধরাজ লেবুর রস ছড়িয়ে পরিবেশন করুন এই দারুন রেসিপি।